CGPA, বা “কিউমুলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ”, আপনার পড়াশোনা কতটা ভালো করেছেন তা বোঝার একটা গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এটি আপনার সবকিছু বিষয়ে প্রাপ্ত গ্রেডের গড় হিসাব করে, আপনার শিক্ষাগত সাফল্যের একটা সামগ্রিক ছবি তৈরি করে।

এখানে কিছু কারণ রয়েছে কেন সিজিপিএ দরকার:

১. ভবিষ্যৎ শিক্ষা কর্মসংস্থান:

  • উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করার সময় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সিজিপিএ বিবেচনা করে। উচ্চ সিজিপিএ থাকলে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • চাকরির জন্য আবেদন করার সময়ও অনেক কোম্পানি সিজিপিএ বিবেচনা করে। উচ্চ সিজিপিএ থাকলে ভালো চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

২. শিক্ষাগত অগ্রগতি মাপা:

  • সিজিপিএ আপনাকে আপনার নিজের শিক্ষাগত অগ্রগতি ট্র্যাক করতে সাহায্য করে। আপনি সময়ের সাথে কতটা উন্নতি করছেন তা দেখতে পারেন এবং কোন বিষয়ে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার তা বুঝতে পারেন।

৩. চাপ উৎসাহ:

  • ভালো সিজিপিএ অর্জন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা আপনাকে পড়াশোনায় উৎসাহিত করতে পারে এবং চাপ দিতে পারে। এটি আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে এবং আপনার পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে সহায়তা করে।

৪. শিক্ষাগত দক্ষতা মূল্যায়ন:

  • সিজিপিএ শুধুই মার্কের গড় নয়, এটি আপনার বিশ্লেষণ, সমস্যা সমাধান, এবং শিখার দক্ষতাও মূল্যায়ন করে। একটি উচ্চ সিজিপিএ দেখায় যে আপনি এই দক্ষতাগুলো অর্জন করেছেন।

. আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি:

  • ভালো সিজিপিএ অর্জন করা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে। এটি আপনাকে নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে আরও ভালো বোঝাতে পারে এবং আপনার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আরও আশাবাদী করে তুলতে পারে।

সম্পূর্ণভাবে, সিজিপিএ আপনার শিক্ষাগত সাফল্য মাপার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এটি আপনার ভবিষ্যৎ শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আপনার নিজের অগ্রগতি ট্র্যাক করতে সাহায্য করে, এবং আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।